প্রকাশিত: ০৩/১০/২০১৬ ৯:৩০ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ায় সাতক্ষিরা ভিত্তিক সিন্ডিকেট গঠন করে চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্টের দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা গামী টাটা ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ট-১১-১৪৩০) তল্লাশী চালিয়ে ট্টাক চালকের সীটের নীচে অতি কৌশলে লুকিয়ে রাখা যে ৫১ হাজার ৮০০ পিস অথ্যৎ প্রায় দুই কোটি টাকার ইয়াবা ইয়াবা উদ্ধার করেছে তা সোনারপাড়া এলাকার ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেটের বলে জানা গেছে। ইয়াবা আটকের পর ছমি উদ্দিন গা ঢাকা দিলেও তার তিন ভাই নাজিম উদ্দিন, নুরুদ্দিন ও জালাল উদ্দিন ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পোনা ব্যবসার আড়ালে।
সোনার পাড়ার ছমি উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ও নুরু উদ্দিন ৪ জনই ইয়াবা বানিজ্য করে এখন কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে কিনেছেন একাধিক সম্পদ।বিশেষ করে সাতক্ষীরা গামী পোনার ট্রাকে করে ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছিল এ সিন্ডিকেট।বেশ কয়েকজন ট্রাক ড্রাইভারের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে নিব্রিঘেœ চলছিল তাদের ব্যবসা।কিন্ত গত ১৫ সেপ্টেবর মরিচ্যা চেকপোষ্টে বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেটের নাম সামনে চলে আসে।আটককৃত খলিলুর রহমানের এক নিকটআত্বীয় নাম প্রকাশ করার শর্তে জানান,ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেটের ইয়াবা বহন করতে গিয়েই খলিলুর রহমান এখন মামলার আসামী।সে আরো জানায়,দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ছমি উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা পোনা ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।সোনারপাড়া এলাকার সবাই জানে ছমি উদ্দিন সহ তারা ৪ জনেরই ইয়াবা ব্যবসার কথা।কিন্ত মরিচ্যা চেকপোষ্টে পোনার ট্রাকে দুই কোটি টাকার ইয়াবা সহ চালানী আটক হলেও রহস্যজনক কারনে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ইয়াবার মালিক গড়ফাদার ছমি উদ্দিন সিন্ডিকেট।তবে ইয়াবা আটকের পর থেকে ছমি উদ্দিন গ্রেফতার আতংকে আত্বগোপনে চলে গেেেছ।আত্বীয় স্বজনদের সাথেও সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ঐদিন সাতক্ষীরা গামী ট্রাক থেকে আটকৃতরা হলো,উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া এলাকার মৃত-হামিদুর রহমানের ছেলে মোঃ সলিমুল¬াহ (৪৫),একই এলাকার মৃত-মাহমুদুর রহমানের ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান(২৫), সাতক্ষীরা জেলার পাটকেল ঘাটা উপজেলার ইনু গাজীর ছেলে মোঃ আহসান উল্লাহ(২৮), এবং একই এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম(২৫)। শুধু তাই নয়, রাজাপালং ইউনিয়নের লম্বাঘোনা গ্রামের মৃত ফকির আহম্মদের ছেলে ইয়াবা খোকা রমরমা ইয়াবা ব্যবসা করে মাহমুদুল করিম খোকা প্রকাশ ইয়াবা খোকা। গত বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ থেকে আসার পথে তার বহনকারী প্রাইভেটকারকে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা পিছন থেকে ধাওয়া করে উখিয়া সদর ষ্টেশনে গাড়ীটি আটকালে, পুলিশ ও এক শ্রেণীর শ্রমিকদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল হক জানান, এ ঘটনায় ইয়াবা খোকা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মুঠফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিখা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...